Description
যেভাবে স্ত্রীর হৃদয় জয় করবেন:
ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাষ্ট্র, আর্থ-সামাজিক, সব বিষয়ে ইসলামের রয়েছে সুনিপুণ দিকনির্দেশনা। তেমনি পরিবার বিষয়ে ইসলাম দিকনির্দেশনা দিয়েছে। একটি মজবুত, আন্তরিক এবং পরস্পর বোঝাপড়া ও সহানুভূতিশীল মুসলিম পরিবার নির্মাণ করার তাগিদ দেয় ইসলাম। এমন মুসলিম পরিবার—যা পরিচালিত হয়- শ্রদ্ধা, ভালবাসা, সম্মান, অঙ্গীকার, সুখ, মানসিক প্রশান্তির মাধ্যমে। যার স্লোগান হবে—ধর্ম হল আন্তরিকতা। যার লক্ষ্য হল—সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেয়া। যার ভিত্তি হল—কুর’আন, সুন্নাহ এবং সালাফদের নাসিহা। যার প্রেরণা হল—তাদেরকে বিচার দিবসে আহ্বান করে বলা হবে-
“তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিনীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে; সেখানে রয়েছে সবকিছু, অন্তর যাচায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।” (সুরা যুখরূপ : ৭০-৭১)
যার আদর্শ হবে—রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর সাহাবাগণ এবং তাঁর অনুসারীগণ।
এ ক্ষেত্রে স্বামীর করণীয় কী, কীভাবে সে তার পরিবারকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করবে? কীভাবে স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক আরও নিবিড় করবে, ভালোবাসা সদা জাগুরুক রাখবে, সন্তানদের ইসলামের শিক্ষায় দীক্ষিত করবে, ইত্যাদি বিষয়ে আলোচিত বইটি।
খোঁপার বাঁধন:
প্রদীপ্ত কুটিরে প্রাধান্য পেয়েছে পরিবার। পরিবারের গণ্ডি পার হলে সমাজ। ‘খোঁপার বাঁধন’ পরিবারের গণ্ডি থেকে বের হয়ে সমাজটাকেও দেখতে চেয়েছে। মাহির-লাফিজার পাশাপাশি সমাজের চরিত্রগুলো কেমন, কিভাবে সেই চরিত্রগুলো সুন্নাহর আলোয় আলোকিত হতে পারে, তা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একজন মসজিদের ইমাম কিভাবে সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করতে পারেন, গ্রামের একজন মুরব্বি কিভাবে একটি কুপ্রথা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিতে পারেন, সামাজিক উদ্যোগ কিভাবে বড়ো গুনাহ থেকে বিরত রাখতে পারে এরকম কিছু আইডিয়া শেয়ার করা হয়েছে ‘খোঁপার বাঁধন’ বইয়ে।
প্রদীপ্ত কুটির:
মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল না। এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন, তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিল।
বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের
মাধ্যমে। বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরও যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে।
মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়। সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি ‘প্রদীপ্ত কুটির’।
Reviews
There are no reviews yet.