Description
প্রদীপ্ত কুটির:
মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল না। এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন, তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিল।
বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের
মাধ্যমে। বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরও যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে।
মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়। সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি ‘প্রদীপ্ত কুটির’।
খোঁপার বাঁধন:
প্রদীপ্ত কুটির’ বইয়ের সেকেন্ড সিক্যুয়েল হলো ‘খোঁপার বাঁধন’। প্রদীপ্ত কুটির ছিলো মাহির-লাফিজার সংসার জীবনের সূচনা। তরুণ দম্পতি একজন আরেকজনকে সুন্নাহর আলোকে শুধরে দেয়, সুন্নাহর আলোয় তারা ঘর আলোকিত করতে চায়।প্রদীপ্ত কুটিরে প্রাধান্য পেয়েছে পরিবার। পরিবারের গণ্ডি পার হলে সমাজ। ‘খোঁপার বাঁধন’ পরিবারের গণ্ডি থেকে বের হয়ে সমাজটাকেও দেখতে চেয়েছে। মাহির-লাফিজার পাশাপাশি সমাজের চরিত্রগুলো কেমন, কিভাবে সেই চরিত্রগুলো সুন্নাহর আলোয় আলোকিত হতে পারে, তা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একজন মসজিদের ইমাম কিভাবে সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করতে পারেন, গ্রামের একজন মুরব্বি কিভাবে একটি কুপ্রথা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিতে পারেন, সামাজিক উদ্যোগ কিভাবে বড়ো গুনাহ থেকে বিরত রাখতে পারে এরকম কিছু আইডিয়া শেয়ার করা হয়েছে ‘খোঁপার বাঁধন’ বইয়ে।বাংলাদেশে ইসলামের ব্যাপারে যেসব প্রশ্ন উঠে, সেগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ হলো সাংস্কৃতিক প্রশ্ন। ‘ইসলাম বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে খাপ খায় না’ বা ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি ইসলামের কারণে কলুষিত হচ্ছে’ এরকম কথা অনেকেই বলে থাকেন। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় মাহির-লাফিজা এমন কথা শুনেছি। স্বামী-স্ত্রী গল্প করতে করতে সংস্কৃতি নিয়েও কথা বলেন। তারা দেখাতে চান উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে মুসলিম প্রভাব কিভাবে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছিলো। তারা কথা বলেন উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে পোশাকের বিবর্তন নিয়ে।সংস্কৃতির পাশাপাশি মাহির-লাফিজা সাহিত্য নিয়েও কথা বলেন। সাহিত্যকে কিভাবে বিচার করবো, সাহিত্য বিচারের মাপকাঠি কী হওয়া উচিত সেটা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন, সাহাবীদের সাহিত্যচর্চার আলোকে তারা তুলে ধরেন।বাংলাদেশের সমাজ-সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কিভাবে ইসলামকে সামনে রেখে জীবনযাপন করতে পারে, তার একটি কল্পিত গাইডলাইন ‘খোঁপার বাঁধন’।
যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন:
অধিকহারে বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া, মুসলিম সমাজে তালাক সংক্রান্ত জটিলতার প্রসার, স্বামীর বিভিন্ন ব্যাপারে স্ত্রীর অধিক হস্তক্ষেপ এবং স্বামীর নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা, পাশ্চাত্যের বিভিন্ন ধ্যান-ধারণার অনুসরণ ও কুরুচীপূর্ণ সিনেমা দেখার প্রতি মুসলিমদের অধিক আগ্রহ ইত্যাদি বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।এ ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা কী হবে? কীভাবে সে তার স্বামীর মন জয় করবে? ভাঙ্গা সংসার কীভাবে পুনরায় জোড়া দিবে? এ নিয়েই রচিত বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি।
Reviews
There are no reviews yet.